রোহিতের কাছেই হারতে বসেছিল গোটা শ্রীলঙ্কা
১৮০ রানে যখন সপ্তম উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা, প্রশ্নটা তখনই জাগল। শ্রীলঙ্কা কি পারবে? না ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা ততক্ষণে হাওয়া হয়ে গেছে তাদের। একটাই প্রশ্ন তখন, পুরো শ্রীলঙ্কা দল মিলে কি ২০৮ রান করতে পারবে? না হলে যে একা রোহিত শর্মার এক ইনিংসের কাছে পুরো শ্রীলঙ্কা দলকেই হারতে হয়!
ভারতের দেওয়া ৩৯৩ রানের লক্ষ্য ছোঁয়া যে শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটিং লাইনআপের সাধ্য নয়, সেটা বোধ হয় সফরকারী দলও জানত। সে জন্যই হয়তো জয়ের লক্ষ্যে ছোটার চেষ্টাও দেখা গেল না শ্রীলঙ্কার মধ্যে। তবে অন্তত রোহিতকে টপকাতে পেরেছে তারা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ২৫১ তুলেও ১৪১ রানে হেরেছে। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
রোহিতের অতিমানবীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৯২ রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত। রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরি দেখে হয়তো একটু হলেও খুশি হয়েছিলেন ম্যাথুস। ১৯৩ ওয়ানডেতে মাত্র একটি সেঞ্চুরি তাঁর। সেটি এসেছিল রোহিতের ২৬৪ রানের ইনিংসের দিনে। আজ রোহিত ২০৮ রান করলেন, নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটাও পেয়ে গেলেন ম্যাথুস!
সে পাহাড়ে চড়ার চেষ্টায় শুরুতেই পা পিছলে গেল শ্রীলঙ্কার। মাত্র ৮ ওভারের মধ্যে ৩০ রানে দুই ওপেনারের বিদায়। শুরুতেই শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে গেল। ওটা ঠিক করা তো দূরে থাক, প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টাও করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুসকে দর্শক বানিয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালেন সব লঙ্কান ব্যাটসম্যান। ১১৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা আসেলা গুনারত্নে কিছু চার মেরে দর্শক মাতালেন কিন্তু ওতে ম্যাচের ভাগ্যে আঁচড়ও পড়েনি।
দলীয় ১৫৯ রানে গুনারত্নের (৩০ বলে ৩৪ রান) বিদায়ের পর আবারও ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’ হয়ে খেললেন ম্যাথুস। অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়া চলছে, আর ম্যাথুস একা একা লড়ে প্রথমে দুই শ পার করলেন। রোহিতকেও (২০৮ রান) পার করলেন।
এই লড়াইটা থামল শেষ ওভারে। ততক্ষণে নামের পাশে ১১১ রান জুটিয়ে ফেলেছেন সাবেক অধিনায়ক। ১৯৪তম ওয়ানডেতে এসে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়াটাও মনে হয় না এত বড় পরাজয়ের প্রলেপ হতে পেরেছে ম্যাথুসের!
তবে এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংটাকে ভদ্রস্থ চেহারা দিতে পেরেছেন। ক্রিকেট অনেকটা মানসিক লড়াইয়ের খেলা। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ফাইনাল হয়ে ওঠা শেষ ম্যাচে দাঁড়াতেই হয়তো পারত না শ্রীলঙ্কা।
No comments:
Post a Comment